হেমন্তের মাঠ যেন সোনা বিছানো বিস্তীর্ণ প্রান্তর। রোদে পোড়া- বৃষ্টিতে ভেজা কৃষকের মুখে হাসি আর উৎসবের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে নতুন ধান।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর ) হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব পালিত হয়েছে। সনাতন পঞ্জিকা অনুযায়ী পয়লা আগ্রহায়ণ এই উৎসব পালন করা হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, আমন ধান ঘরে এনে বাংলার কৃষকেরা যে বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করেন, তা নবান্ন উৎসব নামে পরিচিত। ‘নবান্ন’ শব্দের শাব্দিক অর্থ নব অন্ন। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে কৃষিজীবী মানুষ ঘরে ঘরে প্রথম ধান তোলার পর সেই নতুন চালের দিয়ে তৈরি পিঠা-পায়েস-মিষ্টান্নসহযোগে উৎসবটি পালন করে।
উপজেলার শালবাড়ী গ্রামের পুরোহিত ভবেশ চক্রবর্তী জানান, নবান্নের দিন সকালে গৃহকর্তা স্নান করে শুদ্ধ কাপড় পরেন। সঙ্গে নেন কাস্তে, কলা পাতা আর সিঁদুর। জমিতে গিয়ে তিনটি ধানের গোছ এক জায়গায় করে মন্ত্র পাঠ করে শিষ কেটে নিয়ে কলার পাতায় রাখে। তার সঙ্গে আরও কিছু ধান কাটে। এরপর ধানের গুচ্ছ মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এরপর বাড়ির মহিলারা নতুন ধান থেকে খুঁটে খুঁটে চাল বের করে বিভিন্ন উপায়ে গুড়া করে। এই চাল গুড়ার সঙ্গে ফলমূল, দুধ, গুড় একসঙ্গে মাখিয়ে প্রসাদ তৈরি করা হয়। গৃহকর্তা এই প্রসাদ প্রথমে পূর্ব-পুরুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে এবং পরে পরিবারের সকলে একসাথে বসে এই প্রসাদ গ্রহণ করে।
উপজেলার ভাবিচা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, আগে নবান্নের দিনে পাড়ার সবাই মিলে এক জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হতো। খুব আনন্দ করতাম। সেটা এখন আর নেই বললেই চলে।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর ) হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব পালিত হয়েছে। সনাতন পঞ্জিকা অনুযায়ী পয়লা আগ্রহায়ণ এই উৎসব পালন করা হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, আমন ধান ঘরে এনে বাংলার কৃষকেরা যে বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করেন, তা নবান্ন উৎসব নামে পরিচিত। ‘নবান্ন’ শব্দের শাব্দিক অর্থ নব অন্ন। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে কৃষিজীবী মানুষ ঘরে ঘরে প্রথম ধান তোলার পর সেই নতুন চালের দিয়ে তৈরি পিঠা-পায়েস-মিষ্টান্নসহযোগে উৎসবটি পালন করে।
উপজেলার শালবাড়ী গ্রামের পুরোহিত ভবেশ চক্রবর্তী জানান, নবান্নের দিন সকালে গৃহকর্তা স্নান করে শুদ্ধ কাপড় পরেন। সঙ্গে নেন কাস্তে, কলা পাতা আর সিঁদুর। জমিতে গিয়ে তিনটি ধানের গোছ এক জায়গায় করে মন্ত্র পাঠ করে শিষ কেটে নিয়ে কলার পাতায় রাখে। তার সঙ্গে আরও কিছু ধান কাটে। এরপর ধানের গুচ্ছ মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এরপর বাড়ির মহিলারা নতুন ধান থেকে খুঁটে খুঁটে চাল বের করে বিভিন্ন উপায়ে গুড়া করে। এই চাল গুড়ার সঙ্গে ফলমূল, দুধ, গুড় একসঙ্গে মাখিয়ে প্রসাদ তৈরি করা হয়। গৃহকর্তা এই প্রসাদ প্রথমে পূর্ব-পুরুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে এবং পরে পরিবারের সকলে একসাথে বসে এই প্রসাদ গ্রহণ করে।
উপজেলার ভাবিচা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, আগে নবান্নের দিনে পাড়ার সবাই মিলে এক জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হতো। খুব আনন্দ করতাম। সেটা এখন আর নেই বললেই চলে।
প্রতিনিধি :